Summary
মুর্মু: সাঁওতাল গোত্রের নাম, যার অর্থ 'নীল গাভি', যা তাদের টোটেম। এক কিংবদন্তীতে, এক নীল গাভি সর্দারকে মেরে ফেললে, গোত্রের নাম হয় মুর্মু। এই গোত্রের একাধিক উপগোত্রও রয়েছে।
টাঙন: ঠাকুরগাঁও শহরের পাশে বয়ে যাওয়া নদী।
কান্দর: নিচু স্থান বা খালের অংশ।
পুশনা পরব: পৌষ-সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত বিশেষ পুজো।
হাপন: বালক।
মান্দল: তালবাদ্য মাদল।
পসরা: বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত পণ্যসম্ভার।
ভাঁট: একটি ধরনের বুনো ফুল।
নাগরদোলা: ওপরে থেকে নিচে ঘুরতে পারে এমন পাল্কি, যেখানে মানুষ বসে থাকে।
জাড়: শীত।
আধিয়ার: বর্গাদার, যারা অন্যের জমিতে হাল চাষ করে ফসলের অংশ মালিককে দেন।
জোতদার: ব্রিটিশ শাসনামলে জমিদারদের কাছ থেকে জমি ইজারা নেয়া মধ্যস্বত্বভোগী। কৃষকরা সম্পূর্ণ উৎপাদনের খরচ বহন করলেও জোতদারকে ফসলের অর্ধেক দিতে হয়।
গিরস্তি: গৃহস্থ কাজ।
মড়ল: গোষ্ঠী প্রধান বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি।
ঘুন্টি: গবাদিপশুর গলায় পরানো ছোট ঘণ্টা।
কুশিয়ার ক্ষেত: আখ ক্ষেত।
পুছে দেখ: জিজ্ঞেস করে দেখা।
ফম থাকা: মনে থাকা।
মুর্মু - সাঁওতাল গোত্রবিশেষ। মুর্মু শব্দের অর্থ নীল গাভি; যা এই গোত্রের গোত্র-চিহ্ন তথা টোটেম। কথিত আছে একবার এক অরণ্যভূমিতে কিছু লোক কাজ করতে করতে পরিশ্রান্ত হয়ে গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিল। একসময় তাদের সর্দার ঘুমিয়ে পড়ল। সেই বনে ছিল একটি হিংস্র নীল গাভি । গাভিটি এসে পায়ের চাপা দিয়ে সর্দারকে মেরে ফেলল । ঘুম থেকে উঠে লোকেরা তখন গাভিটিকে হত্যা করল । সেই থেকে মৃত ব্যক্তির গোত্রের নাম বা পদবি হলো মুর্মু। এই গোত্রের একাধিক উপগোত্রও রয়েছে।
টাঙন - পাহাড়ি জলাধারবিশেষ। এ গল্পে ঠাকুরগাঁও শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙন নদী
বোঝানো হয়েছে।
কান্দর - খাত বা নিচু স্থান । সাধারণত খালের অংশবিশেষ ।
পুশনা পরব - বিশেষ পুজোর আয়োজন। পৌষ-সংক্রান্তিতে এই পুজো উপলক্ষে উৎসবের আয়োজন করা হয়।
হাপন - বালক ।
মান্দল - মাদল; এক ধরনের তালবাদ্য।
পসরা - পণ্যসম্ভার; বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত দ্রব্য।
ভাঁট - এক ধরনের বুনো ফুলবিশেষ ।
নাগরদোলা - ওপর থেকে নিচের দিকে ঘুরতে পারে এমন পাল্কির মতো। এতে ছোট ছোট খোপ থাকে। তাতে মানুষ বসে আর এই খোপগুলোকে যন্ত্রের সাহায্যে কিংবা হাত দিয়ে টেনে ওপর থেকে নিচে ঘুরিয়ে আনে।
জাড় - শীত, ঠান্ডা ৷
আধিয়ার - বর্গাদার। যারা একটি নির্দিষ্ট শর্তে অন্যের মালিকানাধীন জমিতে হাল চাষ করে এবং উৎপাদিত ফসলের অংশ শর্ত মোতাবেক মালিককে প্রদান করে।
জোতদার - ব্রিটিশ শাসনামলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথার সূত্র ধরে কৃষকদের জমির মালিকানা চলে যায় জমিদারদের হাতে। এ সময় জমিদার ও কৃষকদের মধ্যে এক মধ্যস্বত্বভোগী জোতদার শ্রেণির উদ্ভব ঘটে। এরা জমিদারদের কাছ থেকে জমি পত্তনি বা ইজারা নিত। এরাই জমির চাষ তদারকি এবং খাজনা আদায়ের কাজ করত। ফলে উৎপাদনের সম্পূর্ণ খরচ কৃষক বহন করলেও ফসলের অর্ধেক চলে যেত জোতদারের হাতে ।
গিরস্তি - গৃহস্থ কাজ
মড়ল - মোড়ল । গোষ্ঠী প্রধান । নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি।
ঘুন্টি - ঘণ্টাবিশেষ । গবাদিপশুর গলায় পরানো হয় এমন ছোট ঘণ্টা ।
কুশিয়ার ক্ষেত - আখ ক্ষেত।
পুছে দেখ - জিজ্ঞেস করে দেখ ।
ফম থাকা - স্মরণ থাকা। মনে থাকা ।
Read more